সবে দু’দফা ভোট মিটেছে বঙ্গে। তাতেই এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত বেআইনি অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সংখ্যা নোহাতই কম নয়। সেই অঙ্ক প্রায় ৪০ কোটি ছুঁই ছুঁই! ভোটে যাতে আর বেআইনি অর্থ ব্যবহার না—হতে পারে, সেজন্য এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানাল নির্বাচন কমিশন। কোনওভাবেই ভোটে বেআইনি অর্থ ব্যাবহার বরদাস্ত করা হবে না। শনিবার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দিলেন কমিশনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক বি. মুরলীকুমার।
ভোটে বেআইনি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিলই।সেজন্য ভোটের আগে থেকেই রাজ্যের কোনায় কোনায় নাকা চেকিং শুরু করে প্রশাসন। তাতে ফলও মেলে হাতেনাতে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেআইনি অর্থ। সেজন্য এদিন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মুরলীকুমারবাবু।
সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সেই জেলাশাসকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন তিনি। জেলাশাসকদের মুরলীকুমার বলেন, ‘বেআইনি অর্থের যোগান ও লেনদেন যে কোনও মূল্যে রুখতে হবে। আর তা রোখার জন্য আরও জোরদার করতে হবে ‘নাকা চেকিং’। বাড়াতে হবে ‘ফ্লাইং স্কোয়াডের’ সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এই বিধানসভা নির্বাচনে অনেক বেশি পরিমাণে বেআইনি অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলেও এই ভিডিয়ো কনফারেন্সে জানান মুরলীকুমার।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত বেআইনি অর্থের পরিমাণ ছিল ২০.১২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই এবারে যা অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেই সংখ্যা গতবারের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এবার নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত সবে দু’দফার ভোট মিটেছে। এখনও ৬ দফার ভোটবাকি রয়েছে। এখনই বাজেয়াপ্ত বেআইনি অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ কোটি ছুঁই ছুঁই। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৯.০৩ কোটি টাকা। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন কমিশন। সেজন্য বাংলার ভোটে বেআইনি অর্থ ব্যবহারে রাশ টানতে এবার কড়া পদক্ষেপের দিকে হাঁটতে চলেছে কমিশন।