রাজ্য পুলিশের ডিজির বদলিতে আপত্তি জানিয়ে মমতার লেখা চিঠির কড়া জবাব দিল কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা হয়েছে, ‘কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আজগুবি গল্প বলছেন মমতা।’
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করতে কখনও দুবার ভাবেন না মমতা। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজির অপসারণ ও তার পর দিন তাঁর আহত হওয়ার ঘটনায় কমিশনের উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। এমনকী একাধিক সভায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কমিশন চালাচ্ছেন কি না সে প্রশ্নও তোলেন।
এদিন মমতাকে জবাবি চিঠিতে উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টের উল্লেখ করেছেন। মুখ্যসচিবকে উদ্ধৃত করে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘একজন জেড প্লাস শ্রেণির নিরাপত্তা প্রাপকের জন্য তাঁর নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের মধ্যে যে সমন্বয় দরকার ছিল তা দেখা যায়নি।’ সঙ্গে মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে সমন্বয় বাড়ানোর দরকার।’
এছাড়া কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট উল্লেখ করা জানানো হয়েছে, সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি কম ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের গতি কমে গেলেও পুলিশকর্মীদের দেখা মেলেনি। পর্যবেক্ষদের রিপোর্টের ভিত্তিতে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে বদলি করে কমিশন। সাসপেন্ড করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিক বিবেক সহায়কে।
কেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে চিঠিতে তার ছ দফা কারণ উল্লেখ করেছে কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যে সফরসূচি তৈরি ছিল তা মানেননি সহায়। বারবার সূচি বদল করা হয়েছে। জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রাপক এক ব্যক্তি সিট বেল্ট খুললেও রোখেননি তিনি। চলন্ত গাড়ির দরজা খুললেও বাধা দেননি। সার্বিকভাবে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সহায়।
সঙ্গে চিঠিতে লেখা হয়েছে, কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে লাগাতার গালগল্প বলছেন মমতা। কমিশন কখনো এমন কোনও পদক্ষেপ করে না যাতে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সুবিধা হয়।