নিজে হাতে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিদায়ী মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছিলেন এমন অনেকেই এবার আর মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম নির্মল মাজি, তাপস রায়, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, গিয়াসিউদ্দিন মোল্লা, জাকির হোসেন, অসীমা পাত্র, মন্টুরাম পাখিরা। গত লোকসভা ভোটের আগে তাপস রায় ও নির্মল মাজিকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। কিন্তু তাঁদেরও এবার নাম নেই মন্ত্রিসভার তালিকায়। অন্যদিকে তপন দাসগুপ্ত ও অসীমা পাত্র দুজনেই ছিলেন হুগলি থেকে মন্ত্রীত্বের তালিকায়। কিন্তু এবার আর জায়গা পাননি তাঁরা। সেজায়গায় মন্ত্রী হচ্ছেন সেই হুগলি জেলা থেকেই নির্বাচিত রত্না দে নাগ।
এর সঙ্গেই এবার বিগত মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ভোটে লড়ার টিকিট পাননি। সেক্ষেত্রে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন তাঁরাও। কিন্তু অমিত মিত্র ভোটে না দাঁড়ালেও এবারও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ভোটে দাঁড়িয়েও পরাজিত হয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রীসভার সদস্য বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব, শান্তিরাম মাহাতো, শ্যামল সাঁতরা প্রমুখ। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে বিদায়ী মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য বর্তমান মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না? রাজনৈতিক মহলের মতে. মূলত এবার স্বচ্ছভাবমূর্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিগত দিনে যাদের বিরুদ্ধে কোনও অনিয়মের অভিযোগ ছিল তাঁদের ডানা ছাঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে মন্ত্রীত্ব না দিয়ে সংগঠনের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কয়েকজনকে। পাশাপাশি মন্ত্রী হওয়ার পরেও দলীয় কোন্দলে জড়িয়েছিলেন এমন অন্তত দুজনকে এবার জায়গা দেওয়া হয়নি নয়া মন্ত্রিসভায়।