'বাংলার এই ধরনের বোমা তৈরির কারখানার কোনও অস্তিত্ব নেই।' তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) ভিত্তিতে সাকেত গোখলে নামে এক ব্যক্তিকে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ব্রাত্য বসু। তাঁর অভিযোগ, নিজের মন্ত্রকের সেই তথ্য সত্ত্বেও নির্বাচনে জেতার জন্য বাংলার নামে এরকম ‘কুৎসিত অপবাদ’ দিচ্ছেন অমিত শাহ। ‘মিথ্যা’-র শরণাপন্ন হচ্ছেন।
মঙ্গলবার টুইটারে সাকেত নামে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, গত বছর অক্টোবরে শাহ অভিযোগ করেছিলেন যে বাংলার প্রতিটি জেলায় বোমা তৈরির কারখানা আছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। সেই উত্তরে শাহের মন্ত্রকের তরফে নাকি জানানো হয় যে বাংলার বোমা তৈরির কারখানার কোনও অস্তিত্ব নেই। সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উত্তরের ছবিও পোস্ট করেন সাকেত (সাকেতের দাবি এবং তাঁর পোস্ট করা ছবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)।
সেই রেশ ধরে সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য দাবি করেন যে 'জনৈক ব্যক্তি সাকেত গোখেল' তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন। প্রথমত, 'বাংলায় বোমা তৈরির কারখানাগুলির কোনও তালিকা আছে?' দ্বিতীয়ত, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে কিছু জানিয়েছে?' তৃতীয়ত, 'মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে, তথ্যের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করেছেন কিনা?' ব্রাত্য বলেন, ‘এই আরটিআইয়ের সাপেক্ষে গত তিন তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এক - আইন-শৃঙ্খলা একান্তভাবে রাজ্যের বিষয়। তারপর সাকেত গোখলে আবার প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করেন এই কথিত বোমা কারখানার তথ্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে জানানো হয়েছে? এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উত্তর দিচ্ছে, তারা তা করেনি। কেন না, কেন না, বাংলার এই ধরনের বোমা তৈরির কারখানার কোনও অস্তিত্ব নেই।’
সেই ‘তথ্যের’ ভিত্তিতেই শাহ এবং বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়, ‘এটা চমকে যাওয়ার বিষয়, কারণ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধুমাত্র নির্বাচনে জেতার জন্য এরকম একটি কুৎসিত অপবাদ, অপমান এবং একটি বিশেষ মনোভাব-দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাঙালি এবং বাংলাকে অপমান করতে চেয়েছেন। তার মানে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার বিষয়ে কিছু না জেনে উনি খোলামেলাভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তাহলে তাঁকে আমরা কি বিশ্বাস করি?’ একইসঙ্গে ব্রাত্য দাবি করেন, সাকেতকে নাকি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা ডেকে বলেছিলেন যে সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে বারণ করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে শাহের মন্ত্রকের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।