গোটা বাংলার একের পর এক আসনে জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। মমতা আবেগে ভেসেছে গোটা বাংলা। অথচ সেই সুদিনেও জয় পেলেন না উত্তরের তিন তিনজন মন্ত্রী। খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ হেরে গিয়েছেন তাঁর এক সময়ের সতীর্থ বিজেপির মিহির গোস্বামীর কাছে। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিহির গোস্বামী। দলে থাকাকালীনও তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বনিবনা ছিল না। বরাবরই তিনি কোচবিহার দক্ষিণ আসন থেকে লড়তেন। এবার নাটাবাড়ি আসন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে মিহিরকে লড়তে পাঠিয়েছিল দল। ফল বেরতে দেখা গেল মিহির গোস্বামীর কাছে হেরে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এখানেই প্রশ্ন গোটা উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন যাঁর কাঁধে ছিল তিনিই হেরে গেলেন নিজের কেন্দ্রে? বাসিন্দাদের একাংশের মতে, জেলায় রবি- মিহিরের দ্বন্দ্বের কথা সকলেই জানেন। সেক্ষেত্রে মিহিরের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে ভোট টানতে সহায়তা করেছে।
অন্যদিকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী তথা সদ্য প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব হেরে গিয়েছেন তাঁরই একসময়ের সতীর্থ বিজেপি প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় ক্রমেই শক্তিবৃদ্ধি করেছিল বিজেপি। এর সঙ্গেই তৃণমূলের একাংশের দুর্নীতির মাসুল গুনতে হল পর্যটনমন্ত্রীকে।
পরাজিত হয়েছেন উত্তরের অপর বিদায়ী মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। আগে মাথাভাঙা থেকে দাঁড়াতেন তিনি। এবার কোচবিহার উত্তর বিধানসভা থেকে দাঁড়ানোর টিকিট দিয়েছিল দল। কিন্তু সেখানেও জয় হাসিল করতে পারলেন না তিনি।