ঢাক–ঢোল পিটিয়ে দিল্লি থেকে বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও তা সম্পূর্ণ করতে পারল না। এখনও পাহাড়ের তিন আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী–সহ মোট ১০টি আসনে প্রার্থীদের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। জানা গিয়েছে, পাহাড়ে এখন বিমল গুরুংয়ের সমর্থন নেই। তাই ভেবেচিন্তে প্রার্থী না দিলে তা ‘মিস ফায়ার’ হয়ে যেতে পারে। আর দক্ষিণ কলকাতায় রয়েছে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখানে আড়াআড়িভাবে বিভাজন রয়েছে আরএসএস বনাম বিজেপির। তাই এখানেও প্রার্থী দেওয়া যায়নি বলে খবর।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ে বিজেপি–গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমার্থক হয়ে ওঠে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসনগুলি দখলে রেখেছিলেন বিমল গুরুং। পরে মোর্চা প্রধান গা–ঢাকা দেওয়ায় বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেস–ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা তাঁর উজ্জ্বল উদাহরণ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রার্থী তালিকায় দার্জিলিং, কালিংম্পং এবং কার্শিয়াংয়ে প্রার্থীদের নাম জানায়নি বিজেপি।
আবার মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরতে যেখানে মরিয়া বিজেপি সেখানে বনগাঁর তিন আসনেও এখনও প্রার্থী দেয়নি। গাইঘাটা বিধানসভা, বনগাঁ উত্তর এবং বাগদায় প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আর এখানেই বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন আগেই। সূত্রের খবর, গাইঘাটা কেন্দ্রে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তাঁর দাদা সুব্রতকে প্রার্থী করতে চান। কিন্তু বিজেপি চাইছে সাংসদ শান্তনুকেই প্রার্থী করতে চান। কারণ তাঁকে প্রার্থী করলে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে সরাসরি থাবা বসানো যাবে বলে মনে করেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মুর্শিদাবাদ থেকে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করে দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে এই জেলার বহরমপুরে এখনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি এবং ইটাহার আসনেও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের ‘গড়’ দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও সেখানকার প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।