রবিবার সকাল থেকেই একের পর এক মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে ধুপগুড়ির পুকুরে। এই দৃশ্য দেখে মাথায় একেবারে আকাশ ভেঙে পড়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির পূর্ব আলতা গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি হুসেন আলির মাথায়। তিনি আর তাঁর ভাই ওই পুকুরেই মাছ চাষ করতেন। তাঁদের আশঙ্কা, কেউ তাঁদের পুকুরে কীটনাশক ছড়িয়ে দিয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের তির। এদিকে পুকুরে প্রচুর মরা মাছ দেখতে এদিন বাসিন্দারাও ভিড় করেন। বিজেপির বুথ সভাপতির অভিযোগ, মাঝে মধ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে হুমকি দিত। বিজেপির বুথ সভাপতি হাওয়ার জন্যই তার উপর বদলা নিতে চাইত শাসকদল। ভোট মিটে গেলেও সেই প্রবনতা কমেনি। মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে। হুসেন আলি বলেন, প্রায় হাজার পঞ্চাশ টাকার পোনা মাছ ছেড়েছিলাম পুকুরে। সব মাছ মারা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, 'বিজেপি প্রচারে আসার জন্য ও এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য নানা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। দোষীদের শাস্তির জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।' তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে বাম জমানায় বিরোধীদের জব্দ করার জন্য এই ধরনের নানা ঘটনার কথা শোনা যেত। কার্যত সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি এবার ধূপগুড়িতে। হাতে না মেরে কৌশলে ভাতে মারা চক্রান্ত। রাজনীতির ময়দানের ঝগড়া এভাবে ব্যক্তিগতস্তরে টেনে আনা কোনওভাবেই কাম্য নয়।