মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্রে তথ্য গোপনের অভিযেগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই পালটা অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস।রীতিমতো ‘তথ্য, প্রমাণ’ দেখিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করা হল।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? তৃণমূল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, হলদিয়া থেকে সম্প্রতি নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু তাঁর নাম এখনও হলদিয়ার ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় ঘোষণা করেছেন, নন্দীগ্রামে তাঁর নাম রয়েছে ভোটার তালিকায় পার্ট নম্বর ৭৬–এর সিরিয়াল নম্বর ৬৬৯–এ।তবে এখনও হলদিয়ার ভোটার তালিকায় ২০৯ নম্বর বিধানসভার সিরিয়াল নম্বর ৩০৫–এ তাঁর নাম রয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কেউ দুই কেন্দ্রের ভোটার হতে পারেন না। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রমাণ মিললে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হওয়ার বিধান রয়েছে। তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম পরিবর্তনের জন্য ৬ নম্বর ফর্মে শুভেন্দু অধিকারী যে আবেদন করেছিলেন, তাতে শুভেন্দু তাঁর স্থায়ী ঠিকানা দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড় গ্রামের মৃণাল বেরার বাড়ি। আইন অনুযায়ী, ওই এলাকার ভোটার হতে গেলে অন্তত ছ'মাস বসবাস করতে হয়। কিন্তু ব্লক লেভেল অফিসার বিজলি গিরি রায়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, আবেদনকারী নন্দনায়েকবাড় গ্রামের বাসিন্দা নন। গত ছ'মাসে ওই এলাকায় তাঁকে কোনদিনও দেখা যায়নি। তাই ওই এলাকার ভোটার হিসেবে তিনি গণ্য নন। বিএলও–র রিপোর্টের পরও ভোটার তালিকায় কীভাবে নাম উঠল, সেই প্রশ্নই উঠছে। এই বিষয়ে এখনও শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।