বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার আগে হিংসা রাজনীতির অভিযোগ উঠল জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দুটি পৃথক জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পর এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দুটি ঘটনাতেই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে পাদ্রীকুঠি এলাকায়। দলীয় পার্টি অফিসের সামনে হোলি খেলছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তখন তাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়।
বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের উপর কৃষ্ণ দাস, প্রধান হেমব্রমের নেতৃত্বে অস্ত্র, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। তার জেরে কান কেটে যায় ৩৫ বছরের রাজীব রায়ের। এমনকী মাথায় কোপ পড়ে। লাঠির আঘাতে শরীরে কালশিটে পড়ে গিয়েছে ওই কর্মীর। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই বিষয়ে বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ–সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা দোল খেলছিল। তখন তাদের উপর কৃষ্ণ দাস তাঁর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। কর্মীরা অভিযুক্ত ১০ জনকে চিনতে পেরেছে। তাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, মদ্যপ অবস্থায় নিজেরা মারামারি করেছেন বিজেপি কর্মীরা। আর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। কারণ ভোটে ফায়দা তুলে চায় তারা।
আবার ব্রহ্মতল পাড়ায় বিজেপির পতাকা লাগানোর সময় রবি রায় নামে ২৫ বছরের এক বিজেপি কর্মীর মাথায় লাঠির আঘাত করে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তাঁর মাথা ফেটে যায়। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। মাথায় ১৮টি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনাতেও থানা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।