সোমবার সকাল থেকেই মালদার বিভিন্ন জায়গায় ভোটকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি মাথাচাড়া দেয়। রতুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনেই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এদিকে মালদার মালতীপুরেও বুথের বাইরে অশান্তি দানা বাঁধতে শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গণ্ডগোল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে সহায়তা চান সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাই়ডিং অফিসার। তৃণমূলের অভিযোগ এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে তৃণমূল কর্মীদের মারধর শুরু করে। সেই মারে মারাত্মকভাবে জখম হন তৃণমূলের এক নির্বাচনী এজেন্ট। তাঁর হাত ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। তাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন? শহিদুল ইসলাম নামে তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট বলেন, ভেতরে কোনও গণ্ডগোল ছিল না। বাইরে গণ্ডগোল হচ্ছিল। এরপর প্রিসাইডিং অফিসার কোথাও ফোন করেন। তারপরই সেন্ট্রাল ফোর্সের লোকজন এসে বুথ থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপি ও কংগ্রেস ওখানে হাত মিলিয়েছে। তাদের কথাই সবাই শুনছে। তৃণমূলের কথা কেউ শুনছে না।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এলা্কায় অশান্তি পাকানোর জন্য তৃণমূল বার বার উসকানি দিয়েছে। গণ্ডগোল বাঁধিয়ে ভোট প্রক্রিয়াকে বানচাল করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ওরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে। অশান্তি থামানোর চেষ্টা করেছে। না হলে আরও বড় গন্ডগোল হতে পারত। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রতিক্রিয়া এব্যাপারে পাওয়া যায়নি।