আদিবাসী–মতুয়া ভোট পাবে আশা করে ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ–বিজেপির নেতারা ২০০ আসন পাবেন বলে দাবি করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক দু’সপ্তাহ আগে বনগাঁ দক্ষিণে প্রচার তুঙ্গে তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখান থেকেই ২২০টির বেশি আসন নিয়ে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফেরার দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।
রবিবাসরীয় বারবেলায় বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি প্রচার চালান। প্রথমে তিনি প্রচারে যান বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের ঝাউডাঙায়। সেখানে প্রচার সেরে তিনি যান বর্ণবেড়িয়া এলাকায়। মানুষের ভিড়ে ছুটির দিন যেন ব্যস্ততার দিন বলে মনে হয়।
এবার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিস্থিতি বেশ খারাপ বলে প্রচার করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিজেপির দাবি, এবারে তারাই বাংলায় ক্ষমতায় আসছে। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে এবার প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। পাল্টা প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এবার খেলা হবে। শুধু তাই নয়, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে হ্যাট্রিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার বলেন, ‘কিছু বিশ্বাসঘাতক সোনার বাংলাকে নষ্ট করে দিতে চাইছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২২০টির বেশি আসন নিয়ে রাজ্যে সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।’ আত্মপ্রত্যয়ী প্রার্থীর কথা বেশ চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির। কারণ তিনি ২০০’র বেশি আসন জেতার কথা বলেছেন। সেটা মিলবে কিনা তা অবশ্য ২ মে জানা যাবে।