রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিনই উঠল গুরুতর অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের দক্ষিণ কাঁথি বিধানসঊা কেন্দ্রের ৭১ নম্বর বুথে তৃণমূলের বোতাম টিপলে বিজেপিতে ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ভোটার। এর পর ওই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় তৃণমূল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বুথ চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূলের দাবি, EVM হ্যাক করে ভোট লুঠ করছে বিজেপি।
এদিন বুথ থেকে বেরিয়ে কয়েকজন ভোটার জানান, তাঁরা তৃণমূলে ভোট দিলে ভোট পড়ছে বিজেপির দিকে। ভিভিপ্যাটেও বেরোচ্ছে বিজেপির কাগজ। এর পরই বুথের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাজেহাল হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। উত্তেজনা থাকায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ভোটযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই। তৃণমূলের এজেন্ট বুথের ভিতরে রয়েছেন। তিনি সব দেখেছেন। গুজব থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিরাপত্তার আশঙ্কায় ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছেন তিনি। পোলিং এজেন্টরা বুথের ভিতরেই রয়েছেন। ওদিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, অমিত শাহ ও শুভেন্দু অধিকারী কারসাজি করে ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করছেন। EVM না বদলালে ভোটগ্রহণ চালু করতে দেবেন না তাঁরা।
গত কয়েক বছরে দেশে ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হলে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ইভিএম হ্যাক করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ দেয় নির্বাচন কমিশন। একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে তারা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই করেনি তৃণমূল।
বাম ও বিজেপির দাবি, ভোটযন্ত্রে সমস্যা থাকলে বুথের ভিতরে কেন বসে রয়েছেন তৃণমূলের এজেন্ট। আসলে হার নিশ্চিত জেনে নতুন নতুন বাহানা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।