সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ভোট শেষ হচ্ছে আজ। এখন সব দলেরই নজর আগামী ২ মে'র দিকে। অর্থাৎ জনগণ কী রায় দিল, কেই বা নীলবাড়ির আসনে বসবে, তা জানতে এই দিনটি বহু প্রতিক্ষিত সব কটি দলের কাছেই। এরইমধ্যে ভোট গণনার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। ২৮ এপ্রিলে কমিশনের জারি করা গণনার সেই নির্দেশিকা ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে, এই অভিযোগে এবার কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যেয়ের নেতৃত্বে চারজনের এই প্রতিনিধি দল কলকাতার সিইও দফতরে গিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান ছাড়াও তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য়।
তৃণমূলের দাবি, গণনার এই নির্দেশিকায় ত্রুটি রয়েছে। কারণ, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোট গণনার আগে গণনা কেন্দ্রগুলোতে এজেন্ট, কাউন্টিং এজেন্ট ও প্রার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘কোভিড নেগেটিভ’ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখানেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য, গণনাকেন্দ্রে প্রার্থী ও দলের অন্যান্য কর্মীদের জন্য করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হলেও আশ্চর্যজনকভাবে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে পোলিং অফিসার ও বাইরে ২৩,০০০-২৪,০০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা যাঁরা মোতায়েন থাকবেন, তাঁদের কোভিড টেস্টের কথা এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়নি। তৃণমূলের আরও দাবি, এঁদের স্বাস্থ্যর দিকেও খেয়াল রাখা উচিত ছিল কমিশনের।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেরিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘আমাদের কাছে খুশির খবর সিইও বলেছেন, রাজ্যে শুধুমাত্র শীতলকুচি ঘটনা ছাড়া বাকি জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।’ তবে বারবারই দিল্লির বিজেপি নেতারা অভিযোগ করছেন, বাংলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয় না। কিন্তু এই প্রসঙ্গে সিইও বলছেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।’
এছাড়াও তাঁরা জানিয়েছেন, গণনার জন্য যে নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, সেখানে পোলিং অফিসার ও যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন থাকবেন, তাঁদের কোভিড টেস্টের কথা এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়নি। তাই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, এই ব্যাপারে তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে। কলকাতায় বোমাবাজি ঘটনায় সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোথাও বোমা পড়েছে। তবে কেউ আহত হননি। কেউ হয়ত ভয় দেখানোর জন্য বোমা ফেলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’