নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলা এবং ব্লকে কালো পতাকা নিয়ে মৌন মিছিল করবেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা৷
একইসঙ্গে এই ঘটনায় শুক্রবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শান্তনু সেন, প্রতিমা মণ্ডল, শতাব্দী রায়রা জাতীয় নির্বাচন কমিশনে লিখিত প্রতিবাদ জানাবেন বলে এদিন জানিয়েছেন পার্থবাবু। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘এই ঘটনার দায় পুলিশের থেকেও বেশি করে নির্বাচন কমিশনের৷ কেন মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া গেল না? তাই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং নেত্রীর উপরে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার কালো পতাকা নিয়ে মৌন মিছিল করা হবে৷ রাজ্যের সর্বত্র এই কর্মসূচি পালন করা হবে৷’
তৃণমূল মহাসচিব আরও বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিত হামলা হয়েছে। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আঘাত করল, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার চেষ্টা বাম আমলেও হয়েছে।’ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, ১০ তারিখের পর দেখবেন কী হয়৷ আমরা দেখলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ তারিখ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই এই ঘটনা ঘটল৷ এটা নিয়ে আমাদের ঘোর সন্দেহ রয়েছে৷ কী ভেবে এই কথা বলেছিলেন ওঁরা?’
যদিও এদিন হাসপাতালে শুয়েই ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সকলে শান্ত থাকুন, মানুষের সমস্যা হয় এমন কিছু করবেন না। গতকাল খুব জোর লেগেছিল। আমি আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই আবার মাঠে নামতে পারব, প্রচারে বের হব। তবে হুইল–চেয়ারে ঘুরতে হতে পারে। সেটা সকলে সহযোগিতা করলে সম্ভব হয়ে যাবে।’