তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ইস্তেহার নেতা–কর্মীদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। কারণ উন্নয়নকে সামনে রেখে প্রচারে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এই ইস্তেহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি রয়েছেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। প্রতিশ্রুতিতে রয়েছে গৃহকর্ত্রীদের আর্থিক প্যাকেজ–সহ পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা ঋণ। তৃণমূল কংগ্রেসের এই ইস্তেহার শুক্রবার থেকে জেলায় জেলায় প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়েছে। এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই ইস্তাহার প্রকাশ করেই বিরোধীদের ভেড়ার পাল বলে কটাক্ষ করলেন।
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল এই মন্তব্য করেন মূলত বিরোধীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশের পরেই অভিযোগ করেছিলেন এই ইস্তেহার আসলে নির্বাচনী চমক। আর তারই প্রতিবাদে এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তেহারে যা বলেছিল একটা দেখিয়ে দিক কাজ হয়নি। ২০১৬ সালে যা বলেছিল একটা দেখিয়ে দিক তার কাজ হয়নি। তারপর বিরোধীদের কথা শুনবো। ওরা আসলে পাগল। ভেড়ার পালের মতো চিৎকার করে যাবে সেই কথা শুনতে কেউ রাজি নয়।’
এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ উঠলে তিনি তাঁকে ফের একবার পাগল বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘পাগল ছাড়া কেউ এই কথা বলে ইউনিভার্সিটি বন্ধ করে চলে যাবো। আবার অধ্যাপকদের কুকুর বলছেন। এটা বলা যায়। পাগল না হলে কি এই সব কথা বলা যায়। আর নরেন্দ্র মোদী ওর তো আট বছর হল। পেরেছে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে, বিনামূল্যে গ্যাস দিতে। কিচ্ছু করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছে তা করে দেখিয়েছে।’