নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়িতে এবার আর আগের মতো বেপরোয়াভাবে বুথে ঢোকা যাবে না। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। সাঁইথিয়ার ওই সভায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলি বলেন, ‘দল যেভাবে কাজ করছে, তা খুব উৎসাহের। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবার যেভাবে আসছে, কড়াকড়ি করছে তাতে আমরা আগে যেভাবে বুথে ঢুকেছিলাম, এবার তা পারব না। যদিও গোপনীয়ভাবে এটা (হয়েছিল) যেভাবে ভোটটা আগে করেছিলাম, তা আর করা যাবে না।’
তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই মন্তব্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। এখন প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ি কি বীরভূমে তৃণমূল শিবিরে আশঙ্কার মেঘ তৈরি করেছে? তাহলে কি আগের ভোটগুলিতে জালিয়াতি হয়েছে? পাশাপাশি বিরোধী দল এই ভিডিয়ো নিয়ে আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা বুথে ঢুকিয়ে দিতাম বা নিজেরা বেপরোয়াভাবে বুথে ঢুকে যেতাম তা আর করা যাবে না।’ আর তাতেই উঠেছে এইসব প্রশ্ন।
প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, এতদিন পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটা গোপন ছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় এইভাবে ভোট চালিয়ে এসেছে। প্রত্যেকটি ভোটে কারচুপি করা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ভোট করানো তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যাস। এতদিন কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেনি, কিন্তু এইবার তৃণমূল ব্লক সভাপতির মুখ দিয়ে আসল সত্যিটা বেরিয়ে এল।
খোদ তৃণমূল ব্লক সভাপতির এমন বেফাঁস মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক শিবিরকে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবারের নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ি নিয়ে আশঙ্কার দানা বাঁধছে বীরভূমের তৃণমূল শিবিরে? তিনি যখন কর্মীসভায় কর্মীদের উদ্দেশে এহেন বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময় দলেরই কোন এক কর্মী ফেসবুকে লাইভ করেন। একুশের নির্বাচন যে যথেষ্টই আশঙ্কার হতে চলেছে, তা বলা বাহুল্য। একইসঙ্গে সূত্রের খবর, এবারের নির্বাচন হতে চলেছে নিশ্ছিদ্র। নির্বাচন কমিশন এবার থেকে বুথে কড়াকড়ি করতে চলেছে। তাই এমন মন্তব্য করেছেন সাবের আলি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।