প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। রবিবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শহরে তখন তৃণমূল নেতা নান্টু পাল। জানালেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করবেন তিনি।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় শিলিগুড়িতে দলের প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। এর পরই একাধিক তৃণমূল নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাদের সাফ কথা, বহিরাগত প্রার্থী দিয়ে অশোক ভট্টাচার্যকে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ভোটের প্রচারে অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানান অনেকে। বিদ্রোহীদের সেই তালিকায় প্রথম সারিতে ছিলেন নান্টুবাবু।
তিনি বলেছিলেন, ‘এই প্রার্থী মেনে নিতে পারবো না। আমরা দলকে জানিয়েছিলাম স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে। আমাদের অনুরোধ রাখা হয়নি। দিন কয়েক আগে যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতেন তাঁকে প্রার্থী হিসাবে মানতে পারবো না।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির আগে শিলিগুড়ির বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস। বোঝানোর চেষ্টা করেন দলের রণনীতি। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। বৈঠক শেষে সস্ত্রীক দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেন শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর নান্টুবাবু। সঙ্গে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ার ঘোষণা করেন তিনি।