কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মধুকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখনই তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তৃণমূল ছাড়লে কোনও ধর্মনিরপেক্ষ দলেই যোগ দেবেন তিনি। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে বহরমপুরের এক জনসভায় কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীকে জেলা পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অপসারণের পর আর কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যেত না একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী মোশারফকে। মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সভায় গরহাজির থাকতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী মন্তব্য করারও অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ জানুয়ারি দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় তাঁকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয় সেদিন। এর পরই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করে রাজ্যের শাসকদল। সে সময় তিনি নওদায় একটি রাস্তার উদ্বোধনী কর্মসূচিতে ছিলেন।
মোশারফ হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কৃত করার ঘোষণা করে মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে। দলবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় এমন সিদ্ধান্ত।’ বহিষ্কৃত হওয়ার পর মোশারফ বলেছিলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমি সভাধিপতির দায়িত্ব সামলে এসেছি। এই সময়কালে অনেক পুরস্কার মুর্শিদাবাদ জেলা পেয়েছে। তাই আজ আমায় বাদ দেওয়ায় একটুও যে খারাপ লাগছে না, তা বললে মিথ্যা বলা হবে।’
তবে শুভেন্দু–ঘনিষ্ঠ নেতা বিজেপি–তে না গিয়ে কংগ্রেসে গেলেন— এ ঘটনায় অবাক অনেকেই। তবে আগেই মোশারফ হোসেন জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দলে যোগ দেবেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, সেদিক থেকে ভাবতে গেলে ধর্মনিরপেক্ষতার মাপকাঠিতে বিজেপি থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস।