চিঠি দিয়ে বা দলের বৈঠকে নয়, একেবারে প্রকাশ্য মঞ্চে নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সনৎ দে। বুধবার সন্ধেয় নিজের এলাকাতেই জনসভা ছিল তাঁর। প্রধান অতিধি ছিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তিনি আসার আগেই এদিন দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মঞ্চে ক্ষোভ উগরে পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করলেন যুব নেতা। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন।
এদিন সভামঞ্চ থেকে সনৎ দে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ওপর ৮ বার হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যেকবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে দলে আলোচনা করব।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘একটা অফিসকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হচ্ছে। তদন্ত আটকে রেখেছে নৈহাটি থানার পুলিশ। রিটার্ন টিকিট আমি কেটে নিয়ে এসেছি।’ এই বলেই তিনি শহর যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
যদিও মঞ্চ থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমের সামনে ভিন্ন সুর ধরা পড়ে সনৎ দে–র গলায়। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। শারীরিক দিক থেকে অসুস্থ। ডায়াবেটিস–সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এর জন্য আমি দলের কাছে আবেদন করলাম, আমাকে রেহাই দেওয়া হোক।’
সভায় এসে পুরোটা শোনেন মদন মিত্র। পরে জানান যে এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে মদন মিত্র বলেন, ‘মঞ্চের ওপর থেকেই পদত্যাগ করেছেন সনৎ। ওটা ইমানদারি, শুভেন্দুর মতো বেইমানি নয়। অনেকদিন ধরেই পদ ছাড়ার কথা বলছে। কিন্তু ও দলের সঙ্গেই আছে। ও বলেনি আমি দল ছেড়ে দেব। ও বলছে আমি যুব–র সভাপতি পদ ছেড়ে দেব। আমরা এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করছি।’