নন্দীগ্রামে হামলা চালিয়েছে শুভেন্দুর বাহিনী, নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

এবার নন্দীগ্রামে হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

শুভেন্দু অধিকারী।  (PTI)

ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁর মনোনীত প্রার্থী চৌরঙ্গী থেকে দাঁড়াতে চাননি। দু’‌জায়গায় ভোটার হিসাবে নাম থাকায় নির্বাচন কমিশনে নালিশ জমা পড়েছে। এবার নন্দীগ্রামে হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখাও করবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সুতরাং শুভেন্দু অধিকারীর নামে ফের নালিশ জমা পড়বে বলে খবর।

এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের বয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতে ও বৃহস্পতিবার সকালে সোনাচূড়ায় পরিকল্পনা করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। এই মর্মেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগের স্বপক্ষে ভাঙচুর করা গাড়ির ছবি ও আক্রান্তদের এক্স–রে রিপোর্টও জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। শুক্রবার আরও একদফা অভিযোগ জমা করবেন তাঁরা। নন্দীগ্রামে হারবে বুঝতে পেরেই শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা এই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে বলে নালিশ জানানো হবে।

যে নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর (‌ভূমিপুত্র)‌ গড় বলে পরিচিত সেখানেই আজ প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তার জেরে সোনাচূড়ায় বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সোনাচূড়া বাজারে শুভেন্দু অধিকারী আসতেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি সমর্থকরা। দু’‌পক্ষের সংঘর্ষের জেরে মোট ৯ জন আহত হন।