টেট দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে শোরগোল ফেলে দিলেন বিজেপিতে যোগদানকারী কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। সেই বিশ্বজিৎই দাবি করলেন, ২০১৪ সালে টেটের নিয়োগের পুরোটাই দুর্নীতি হয়েছে।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমার স্ত্রী ও বউদি চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু আমি মোট ৬২ জনকে চাকরি দিয়েছি। তারা সবাই দলের কর্মী। শুধু আমি নই স্বপন দেবনাথ, অনুব্রত মণ্ডল, তপন চট্টোপাধ্যায়রাও চাকরি দিয়েছেন। ২০১৪ সালের টেটে তৃণমূল কর্মী ও তাদের ঘনিষ্ঠরাই শুধু চাকরি পেয়েছেন। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই করেছেন।’
বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর এই অভিযোগে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘ও নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর। তাই ভাবছে এদের নামগুলো দিয়ে যদি বাঁচা যায়। ওর থেকে বড় চোর কেউ নেই। ওর গুষ্টিকে চাকরি দিয়েছে।’
এব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তপন চট্টোপাধ্যায় বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বলে রাখি, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে দলের অন্দরে ক্ষোভ দেখা দেয়। কালনায় টেট কেলেঙ্কারির নায়ক বলে পরিচিত বিশ্বজিৎবাবুকে ‘টেটশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে কটাক্ষ করেন অনেকে। বিরোধীদের দাবি, বিশ্বজিৎবাবুর পরিবারের অন্তত ১৩ জন ২০১৪ সালের টেটে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন।