একুশের ভোটের আগে ফের রাজ্যের শাসকদলের হাত ছাড়ল আর এক বিধায়ক। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। বুধবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি–র সদর দফতরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে সেই জল্পনাকে সঠিক প্রমাণ করলেন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই বিজেপি–র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল পেশায় আইনজীবী অরিন্দম ভট্টাচার্যের। যদিও গত ডিসেম্বর মাসেই তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে দলের সাংগঠনিক কাজকর্মে তাঁকে ইদানিং দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে বুধবার বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে বিজেপি–তে যোগ দিলেন অরিন্দম।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে শান্তিপুর থেকে লড়াই করেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। সে সময় শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন অজয় দে। তাঁকে ১৯ হাজার ভোটে হারিয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছিলেন অরিন্দম। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই দলবদল করেন তিনি। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল যোগ দেন তৃণমূলে।
তৃণমূলে অরিন্দম যোগ দেওয়ার পর থেকেই শান্তিপুরে শাসকদলের সংগঠন দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যায়। একটি গোষ্ঠীতে অজয় দে–র অনুগামী, আরেকটিতে অরিন্দম ভট্টাচার্যের। তার পর থেকে শান্তিপুরে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। কেউ বা কারা অরিন্দমের গাড়িতে হামলাও চালিয়েছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও পরে তা উবে যায়।
এদিকে, ২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনের যা ফলাফল তাতে নদিয়া জেলার বিধানসভাওয়াড়ি ভোটে দেখা গিয়েছে যে ১১টি আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে শান্তিপুর আসনও রয়েছে। এই আসনে ৩৫ হাজার ১২ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এবার ঠিক ভোটের আগে সেই বিজেপি–র দিকেই পা বাড়ালেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। যদিও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন স্থানীয় তৃণমূল নেত্বত্ব। তাঁদের কথায়, আপদ বিদায় হয়েছে। ভাল হয়েছে।