তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে জেলায় জেলায়। প্রার্থীতালিকা থেকে ২৭ জন বিধায়কের নাম বাদ দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তাদের অধিকাংশই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এক কদম এগিয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন নলহাটির বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন সামস। তাঁর অভিযোগ, পাথর খাদান, বালি মাফিয়াদের কাছ থেকে তোলা তুলে অনুব্রত মণ্ডলকে দিতে পারিনি বলে টিকিট দেয়নি তৃণমূল।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হলে দেখা যায় নলহাটি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন পুরসভার পুরপ্রধান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মাতেন তাঁর অনুগামীরা। উলটো দিকে ফেসবুক লাইভে বসেন বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন সামস। তিনি বলেন, ‘আমি কোনওদিন বালিমাফিয়া, কয়লা মাফিয়া, পাথর মাফিয়াদের সঙ্গে আপোস করিনি। সব থেকে বড় অপরাধ, আমি মুসলমান। আমি টুপি পরি। এই আমার সব থেকে বড় অপরাধ। আমাকে টুপি পরতে বারণ করেছিল’।
মইনুদ্দির সাহেবের অভিযোগ, ‘আমি নলহাটি ছাড়বো না। আমি আজ সংকল্প নিচ্ছি, আমি নলহাটিকে সমস্যামুক্ত বিধানসভা কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলবো। আমি আগামী নির্বাচন এখান থেকেই লড়বো। আমি কোন দল থেকে কী ভাবে লড়বো, তা দু দিনের মধ্যে জানাবো। আমি আজ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করছি’।
পরে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বালি ও পাথর খাদান থেকে অনুব্রতম মণ্ডলকে তোলা তুলে দিতে পারিনি বলে আমাকে টিকিট দেয়নি’।
পালটা অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘কলকাতা থেকে দল যা ভাল বুঝেছে, তাই করেছে। নলহাটিতে তো রাজেনবাবুই ভোট করান।’
বলে রাখি ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন মন্ত্রী কলিমুদ্দিন সামসের ছেলে মইনুদ্দিন সামস। ২০১৬ সালে এই আসন থেকে জয়ী হন তিনি। ২০১১ সালে এই আসনে জিতে বিধায়ক হন কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি জঙ্গিপুর থেকে সংসদে গেলে সেখানে উপনির্বাচনে জেতে ফরওয়ার্ড ব্লক। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে আসন দখল করে তৃণমূল। বিধায়ক হন মইনুদ্দিন সামস।