রবিবার কুলতলির সভায় শুভেন্দু অধিকারী–সহ বঙ্গ বিজেপি–র একাধিক নেতাকে চেনা সুরে আক্রমণ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মূলত তিনি তাঁদেরকেই নিশানা করেছেন যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপি–তে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ‘কুৎসা’ করে চলেছেন। অভিষেকের তোপের নিশানা হয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।
তিন বছর পর একজনের ঘুম ভেঙেছে। তোয়ালে মুড়িয়ে টাকা নিয়েছিলেন। বিধানসভা ভোটে যেখানে দাঁড়াবেন হারাবো— নাম না করে এদিন কথার বানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘তিন বছর পর ঘুম ভেঙেছে। ডায়মন্ড হারবারে মিটিং করে বলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি জিতিয়েছি। সে মাঠে নেমেছিল বলে আমি নাকি ৭০ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। আর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল বলে সাড়ে ৩ লাখ ভোটে জিতেছি। সে নাকি আমাকে জিতিয়েছে!’
শোভনের প্রতি তোপ দেগে এদিন অভিষেক বলেন, ‘আপনি যত বেশি মাঠে নামবেন তত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গল। আপনাকে মানুষ যত দেখবে তত তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বাড়বে।’ নারদ কেলেঙ্কারির বিতর্কিত ভিডিও–তে দেখা গিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মুখও। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, ‘এক হাতে সিগারেট আর এক হাতে টাওয়াল মুড়ি দিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। আবার টাকা নিয়ে বলছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পড়ে দেখা করিয়ে দেব।’
অভিষেকের মতে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর মানহানির মামলা করা উচিত ছিল। কারণ হিসেবে তিনি শোভনের নাম না করে বলেন, ‘তুমি তো আমার নাম নিয়ে টাকা নিয়েছ। তোমার লজ্জা করে না। তুমি আবার মানুষের কাছে গিয়ে বলছ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছি।’ এর পরই অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘৩১টা বিধানসভার মধ্যে কোথায় দাঁড়াবে ঠিক করে নাও। হারানোর দায়িত্ব আমার। ওপেন চ্যালেঞ্জ করলাম।’
এর পাল্টা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৯–এর নির্বাচনে ৩ লাখ ভোটে জেতার যে অহঙ্কার অভিষেক করছেন সেটা সম্পূর্ণভাবে ভোটের কারচুপি। ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, মেটিয়াবুরুজ— জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক কোথাও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হয়নি।’ শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন কটাক্ষ করে বলেন, ‘অভিষেকের বয়স অল্প। তাঁর অহঙ্কার কথা বলছে। যা তৃণমূলকে ডোবাবে।’