কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এলাকায় কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সাউথ ব্লক। এই প্রেক্ষিতে এবার মোদী সরকারকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতার তোপ, আগে দিল্লি সামলান, তার পর বাংলার কথা ভাববেন।
এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ডেরেক আরও বলেন, ‘কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে যেভাবে বাইরে থেকে মন্তব্য ধেয়ে আসছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু, অব কি বার ট্রাম্প সরকার কে বলেছিলেন? আর এখন আমরা বলছি এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি উপকণ্ঠে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্না–আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
মোদী সরকারকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদ আরও বলেছেন, ‘আগে দিল্লি সামলান, তারপরে বাংলার কথা ভাববেন।’ উল্লেখ্য, দোরগোড়ায় বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন রাজ্যের শাসকদলের কাছে কার্যত ‘প্রেস্টিজ ফাইট।’ অন্যদিকে, একুশের বাংলায় পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে কৃষক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করলেন ডেরেক। ডেরেকের কটাক্ষ, ‘এটা এমন একটা সময়, যখন ছোট ছোট স্বাধীনতার জন্যও সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। মাইক্রোফোন এবং টিভির সম্প্রচার বন্ধ না করে, সাংসদদের অধিবেশন থেকে বাইরে না বের করে, সাসপেন্ড না করে দেওয়াকে স্বাধীনতা বলে ধরতে হয়।’
কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের নাক গলানোর বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চৌরি চৌরা শতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের একতাই আমাদের অগ্রাধিকার, এই ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’
আর অন্য দেশ কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর দায় মোদী সরকারের ঘাড়েই ঠেলেছেন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়ায় এখন আমরা স্পর্শকাতর হয়ে উঠছি। এখন আমরা বলছি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ?’