এটা একেবারে বরাবরের মিথ, রাজ্যের হিন্দিভাষী এলাকায় বিজেপির ভালো প্রভাব। এনিয়ে বেশ স্বস্তিতেই ছিল বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনেও হিন্দিভাষী ভোটের একটা বড় অংশ গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতেই। কিন্তু বিধানসভার ইভিএমে সব মিথ ভেঙে চুরমার। কলকাতা ও হাওড়ায় হিন্দিভাষী মানুষদের বাস বেশি এমন এলাকাতেও এবার ভালো ভোট পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি চলে গিয়েছে কার্যত ব্যাকফুটে।
বড়বাজার আর পোস্তা এলাকার কথাই ধরা যাক। এর মধ্যে কিছুটা এলাকা পড়ে জোঁড়াসাঁকোর মধ্যে আর কিছুটা এলাকা পড়ে শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। দুটি কেন্দ্রেই এবার জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গতবারের থেকেও বেশি ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। জোড়াসাঁকোতে ওয়ার্ডভিত্তিক ফলাফলেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপির খাসতালুক বলে পরিচিত জোড়াসাঁকোতে তৃণমূলের এই এগিয়ে থাকা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
ভবানীপুরেও প্রচুর অবাঙালি মানুষের বাস। সেখানেও একটি বাদ দিয়ে প্রায় সবকটি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, উত্তর হাওড়া. বালি. ব্যারাকপুর, জগদ্দল, রাসবিহারী, মানিকতলা কেন্দ্রের বিভিন্ন অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ভালো ফল করেছে তৃণমূল। কিন্তু কেন এমন হল? কেন অবাঙালিদের অনেকে সরে গেলেন বিজেপির পাশ থেকে? তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মতে, এই রাজ্যে যথেষ্ট সুরক্ষিত আছেন অবাঙালি মানুষরা। জিএসটি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক নীতির জেরে অসন্তোষ ছড়িয়েছে বড়বাজার, পোস্তা এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে ইভিএমে। অন্যদিকে লকডাউন সহ বিভিন্ন সংকটের সময় পাশে থেকেছে তৃণমূল। তারই ফসল ঘরে তুলেছে ঘাসফুল শিবির।