দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূলের হুগলি জেলার মুখপাত্র প্রবীর ঘোষাল। তাঁর দাবি, দিদিকে বলো-দুয়ারে সরকারে বলে কাজ হয় না। তাঁকে ভোটে হারানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
এদিন প্রবীরবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোডের সংযোগকারী রাস্তাটি গত ১ বছর ধরে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। কানাইপুর থেকে নবগ্রামের অংশটির অবস্থা সব থেকে খারাপ। দিদিকে বলোয় ফোন করেছি, কাজ হয়নি। দুয়ারে সরকারে জানিয়েছি, কাজ হয়নি। তার পর বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমি মুখ খুলি’।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘KMDA-র মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তাঁকে আমারই দলের একজন পঞ্চায়েত প্রধান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার কথায় সে প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ায় ভর্ৎসনা করা হয় তাঁকে’।
প্রবীরবাবুর দাবি, ‘আমার কাছে দলের লোকেরা এসে বলছে, আপনাকে ভোটে হারিয়ে দেওয়া হবে বলে এই কাজটা ফেলে রাখা হয়েছে। আমি দলের মুখপাত্র। কিন্তু আমাকে জানিয়ে কিছু করা হয় না। কারণ আমি মুখ খুলছি লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে’।
পালটা মুখ খুলেছেন কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। বলেন, ‘উনি তো প্রথমে টিকিট পাবেন, তার পরে তো হার-জিত। গত ৫ বছরে উনি কানাইপুরে ওনার বিধায়ক তহবিলের ১ টাকা খরচ করেননি। ওনার কী পারফর্ম্যান্স এলাকার মানুষ জানে। পঞ্চায়েত প্রধানের কত ক্ষমতা যে উনি আজকে আমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন’?
প্রবীর ঘোষালকে আলঙ্কারিক বিধায়ক বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘পুরো এলাকাটাকে নষ্ট করে ভেবেছিলেন অন্য কোনও দলে গিয়ে হয়তো নিজের ব্যবস্থাটা করবেন। উনি আমার আলঙ্কারিক বিধায়ক। শুধু আলমারিতে সাজিয়ে রাখার জন্য। মানুষের কোনও কাজ তো উনি করেননি’।
দলের মুখপাত্রই বেসুরো হওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। এব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি দলের কোনও শীর্ষনেতা।