শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা। আর তাতে জায়গা পেয়েছেন টলিউডের একঝাঁক চেনা মুখ। তরুণ তাজা নট ও নটীদের ওপর এবার অনেকটা ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর লড়াইয়ের গুরুত্ব বুঝে নিজেদের তৈরিও করে ফেলেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থীরা। নিজেদের প্রার্থীপদ নিয়ে নানা কথা বললেন তাঁরা। তবে সবাই একসুরে একটা কথাই বলেছেন, ‘দলের ভরসা রাখার চেষ্টা করবো। সবাই মিলে লড়বো।’
রাজ চক্রবর্তী (বারাকপুর)
আমি এলাকারই ছেলে। আমার জন্ম হালিসহরে। বড় হয়েছি কাঁচরাপাড়ায়। আমার কলেজ নৈহাটিতে। তাই এলাকার প্রতিটি গলি আমার চেনা। আমি জনগণকে অনুরোধ করবো আমাকে তারকা হিসাবে না দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন প্রার্থী হিসাবে দেখতে। জয়ী হলে আমি মানুষের জন্য কাজ করবো।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁকুড়া)
অনেক দায়িত্ব। সবে শুরু হল কাজ। দিদিকে ধন্যবাদ যে আমার ওপর ভরসাটা করতে পেরেছেন। এবার আমরা লড়াইয়ে নেমে পড়েছি দেখা যাক। তারকা প্রার্থী হিসাবে নয়। মানুষের পাশে থেকে তাদের সমস্যার সমাধান যতটা করা যায় তার চেষ্টা করবো।
সায়নী ঘোষ (আসানসোল)
প্রচণ্ড উত্তেজিত। দিদি বলে দিয়েছে মানুষের মাঝে যাও, কাজ করো। শুধু কথা বললে হবে না। ওদের সঙ্গে থেকে ওদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে। আসানসোলের মানুষ শিল্পীদের পছন্দ করেন। সেখানে আরেকটা ভরসা রয়েছে। বাবুল দা রয়েছেন, অগ্নিদি রয়েছেন। ওদের থেকে আমি অনেকটা ছোট। শেখার অনেক বাকি রয়েছে।
কাঞ্চন মল্লিক (উত্তরপাড়া)
তারকা প্রার্থী হিসাবে হাত নেড়ে কাজ করবো না। দিদির দূত হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করবো। যতটা সম্ভব দিদির বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দেবো।
জুন মাল্য (মেদিনীপুর)
মেদিনীপুরে আমার শিকড়। সবার সঙ্গে থেকে জন্য কাজ করতে পারবো ভেবে ভাল লাগছে। আমার প্রার্থীপদ নিয়ে আগেও অনেক জল্পনা হয়েছে। আমার মনে হয় অনেকের জন্যই এটা একটা চমক।
অদিতি মুন্সি (রাজারহাট - গোপালপুর)
আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। আমি চেষ্টা করবো যেন তাঁদের মান রাখতে পারি। এই এলাকাকে আমি জন্ম থেকে চিনি। এতে আমার কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে।
সোহম (চণ্ডীপুর)
দশ বছরে আমাদের সরকার যে কাজ করেছে তা অভূতপূর্ব। বিশ্বে কোথাও এমনটা হয়নি। প্রার্থী করার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাবো। ওদের ভরসার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করবো।