বিধানসভা নির্বাচন দুয়ারে। সুতরাং শহর থেকে জেলা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতির উত্তপ্ত ভাষণ। কিন্তু সেখানে নতুন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। নেই তেমন ভোকাল টনিকও। তাই রাজনৈতিক ভাষণে অরুচি ধরেছে কর্মী–সমর্থকদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বাধ্য হয়ে ভাষণ এখন সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হচ্ছে সভায়। বদলে মঞ্চের পাশে রাখা হচ্ছে গানের অনুষ্ঠান। রীতিমতো অর্কেস্ট্রার বাজিয়ে চলছে জলসা। যাতে অন্তত কর্মী–সমর্থকরা চলে না যান। তাঁরা থাকেন। কিন্তু সেকথা স্বীকার করতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি, মহিলাদের আনন্দ দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার দেখা গিয়েছে, রামপুরহাট কলেজের মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এই সভায় মহিলার সংখ্যা তেমন না হওয়ায় ব্লক সভাপতিকে চোখ রাঙিয়ে আক্রমণ করেন অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনা যখন ঘটছে, তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি। তাঁদের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও কেউ কোনও টু–শব্দটি করেননি।
অর্কেস্ট্রার আয়োজনের বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ–সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের কথা মানেই হিংসা। কিন্তু বাংলার মানুষ শান্তি চায়। নির্বাচনের পর পাপের ফল ভোগ করতে হবে তাঁকে।’ এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রতর কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর যত দাড়ি বেড়েছে ততই দেশে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। বিজেপির অবস্থা এখন বুড়ো গরুর মত। তাই এবার পাড়ায় পাড়ায়, ঘরে ঘরে খেলা হবে।’