উপ–নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে অপসারণের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি লিখে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর এই কথা জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সৌগত রায় বলেন, ‘সুদীপ জৈন নিরপেক্ষ থাকবেন বলে মনে করে না তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি দায়িত্বে থাকলে অবাধ নির্বাচন হবে না।’ তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সুদীপ জৈন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক থাকাকালীন একের পর এক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন।
রাজ্যে যখন প্রথম দফায় নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে, ঠিক তখনই উপ–নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে অপসারণের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের সময় কুইক রেসপন্স টিমের প্রধান পদে সিআরপিএফ আধিকারিককে বসানোর সিদ্ধান্ত নেন সুদীপ জৈন। যা সংবিধান বিরোধী। নির্বাচন কমিশনের এই অধিকার নেই। কিন্তু সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি অমিত শাহ। পরে অবশ্য বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।’
সৌগত রায়ের আরও অভিযোগ, ওঁর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আগেও আমরা দেখেছি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে এই সুদীপ জৈনই ভুল রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। যার জেরে নির্বাচনের দু’দিন আগে প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। অথচ, বিজেপি ওই দু’দিনও প্রচার চালিয়ে যায়। কমিশন সেই মূর্তি ভাঙা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অমিত শাহের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্লেখ্য, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ২ দফায় বাংলায় এসেছিলেন উপ–নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।