সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্যসভার পদ ছেড়ে দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তা নিয়ে রাজনীতির অলিন্দে খানিক চর্চা হলেও তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি। বরং বিশ্বাসঘাতকদের তালিকায় তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দলে থাকাকালীন তাঁকে খারাপ মানুষ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ তিনি নাকি দলের খারপটাই সবসময় খুঁজে বেড়াতেন। এমনই সব অজানা কথা তিনি জানিয়েছেন, হিন্দুস্তান টাইমসের জাতীয় রাজনৈতিক সম্পাদক সুনেত্রা চৌধুরী–কে।
দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘দল যেভাবে চলছিল আমি তার বিরোধিতা করেছিলাম। তাই আমাকে খারাপ ব্যক্তি হিসাবেই দেখা হতো। যখন নারদ কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছিল তখন আমি নেতৃত্বকে বলেছিলাম তাঁদেরকে দল থেকে বের করে দিতে। আমি তাঁদেরকে অভিযুক্ত বলছি না, কিন্তু তাঁদেরকে সরিয়ে দিতে বলেছিলাম। বরং দেখা গেল, আমাকেই সরিয়ে দেওয়া হল।’
তাঁর অভিযোগ, ‘একজন সাংসদ, আমি তাঁর নাম নিচ্ছি না। কারণ এটা সঠিক সময় নয় তাঁকে অপরাধী বলা। যেহেতু নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। সে আমায় বলেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষ্কার নির্দেশ আছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রচারে যেন আমি না থাকি।’
তিনি জানান, ‘সত্যিকারের পরিবর্তন যা মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা ঘটেনি। বরং মানুষের কাছে তা তুলে ধরতে সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। হিংসা–দুর্নীতি ছাড়া কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয় তাঁর সরলতার জন্য। কিন্তু বাকি কারও মধ্যে কোনও ব্যক্তিত্ব নেই। যদি দেখা যায় নেতারা দুর্নীতিতে জড়িত তাহলে কখনই ক্ষমা করা উচিত নয়। অথচ তাদেরকে দুর্নীতিতে জড়িত বলে ঘোষণা করা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় আজ তারা দুর্নীতিতে জড়িতই।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে মধ্যবিত্তরা নানা সমস্যায় রয়েছে। কিন্তু কেউ তাঁদের অভিযোগ শোনার নেই। এমনকী কাটমানি ইস্যু প্রায় রোজই দলের শীর্ষনেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। পরিবারতন্ত্রের সংস্কৃতি দেশে বন্ধ হওয়া দরকার। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেননি। কিন্তু বলেন, নেতাদের বিনয়ী ও নম্র হওয়া উচিত। যা ভারতীয় সংস্কৃতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এই বিষয়ে কৃতিত্ব দিতে হয় বামফ্রন্ট এবং বিজেপিকে। কারণ এই দুই দলের শীর্ষস্তরে ভাই–ভাতিজার রাজনীতি নেই। একজন শুধুমাত্র চপার নিয়ে নিজের কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন, আর গালিগালাজ করবেন এটা সুস্থ সংস্কৃতি নয়।’