এবার পদ্মাসনে বসলেন অভিনেতা হিরণ চক্রবর্তী। অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নেওয়ার আগে তিনি জানান, বাংলায় লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ এখানে অলক্ষ্মীর প্রভাব পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এই মন্তব্যই করেছেন অভিনেতা হিরণ। কিন্তু অলক্ষ্মী কে? তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
বুধবারই তাঁর সহকর্মী—রুদ্রনীল, যশ, সৌমিলি, পাপিয়া অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। সুতরাং এই ট্রেন্ডে গা–ভাসাতেই বিজেপিতে এবার হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাকদ্বীপের সভায় বিজেপিতে যোগদান করেছেন এই টলি–অভিনেতা। যুব তৃণমূল কংগ্গেসের সহ–সভাপতি পদে ছিলেন এই অভিনেতা। কিন্তু এখন ঘাসফুলকে বিদায় জানিয়ে পদ্মফুলকে আঁকড়ে ধরলেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টলি–তারকাদের দলে নিয়ে টিকিট দিতে চাইছে বিজেপি। অভিনেতা–অভিনেত্রীদের সামনে রেখেই ভোট বৈতরণী পার করতে চায় তারা বলে সূত্রের খবর। তাই দলবদল থেকে শুরু করে টলি–তারকারা বিজেপিতে ঝুঁকছেন। যার সাম্প্রতিক সংযোজন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হিরণ। তিনি বলেন, ‘অলক্ষ্মী বিদায়ই লক্ষ্য। বাংলা থেকে অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফেরাতে হবে। বাংলায় কর্মসংস্থান নেই বলে যুব সম্প্রদায় বাইরে চলে যাচ্ছে। তাঁদের বাংলায় ফেরাতে হবে। তার জন্য অলক্ষ্মীর প্রভাব কাটিয়ে লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে।’
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার কারণ কী? হিরণ বলেন, ‘আমি সাধারণ পরিবারের ছেলে। তাই দুঃখ–কষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি সমাজ পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষমতা না এলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আটকানো যাবে না। ২০১৪ সালে এমন স্বপ্ন নিয়েই একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। শুধু নীল–সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তাই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি।’