
১৩০ জন বিজেপি কর্মীকে আপনি মেরেছেন: মমতার বিরুদ্ধে বাংলাতেই সুর চড়ালেন স্মৃতি
১ মিনিটে পড়ুন . Updated: 31 Jan 2021, 06:11 PM IST- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মৃতি ইরানির সরাসরি প্রশ্ন, ‘গরিব শ্রমিকের এত ক্ষতি কেন করলেন দিদি?’
হাওড়ার ডুমুরজলায় রবিবাসরীয় মেগা যোগদানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। একের পর এক প্রশ্ন এদিন ছুড়ে দেন তৃণমূল দলনেত্রীর প্রতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রীর প্রশ্ন, ‘গরিবের প্রতি এত অন্যায় কেন করলেন দিদি?’ এদিন পরিষ্কার বাংলা ভাষা ও হিন্দি মিশিয়ে বক্তব্য রাখেন স্মৃতি ইরানি।
করোনা–কালের কথা এদিন তুলে ধরেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর প্রশ্ন, ‘মোদীজির দেওয়ার শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনকে করোনা এক্সপ্রেস বলেছিলেন দিদি। তিনি ওই ট্রেন আসতে দেননি। রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢুকতে দেননি দিদি। কেন? যাঁর কর্মসূত্রে বাইরে যান তাঁরা কি বাংলার মানুষ নন?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মৃতি ইরানির সরাসরি প্রশ্ন, ‘গরিব শ্রমিকের এত ক্ষতি কেন করলেন দিদি?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এদিন স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে যে দিদি নাকি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন ভবানীপুর ছেড়ে? তাই শুভেন্দুবাবু বলছেন, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, দিদিও জানেন যে বাংলায় পদ্ম এখন ঘরে ঘরে’। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘১৩০ জন বিজেপি কর্মীকে আপনি মেরেছেন। তাঁদের বলিদান বৃথা যাবে না। যাঁরা নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ লাগায়, ‘জয় শ্রী রাম’–এর মতো স্লোগান শুনলে রেগে যায় সেই দলে কেউ থাকতে চায় না।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘কৃষকদের তালিকা চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই তালিকা আপনি দেননি। কারণ, কাটমানি না এলে কাজ হয় না, দিদি সেট জানেন। ডাল চুরি, চাল চুরি, ত্রিপল চুরিতে সিদ্ধহস্ত তৃণমূল। আমফানের সময় রাজ্যকে কেন্দ্র ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। তৃণমূল সরকার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেই টাকা লুঠ করেছে।’ স্মৃতি ইরানির আরও অভিযোগ, ‘দিদি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাননি। কিন্তু মোদীজি ‘জন ধন যোজনা’র মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছেন মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।’