বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যে নামলেই তা শেষ হয়ে যাবে। আর দ্বিতীয় দফার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। এই দ্বিতীয় দফায় ভোট রয়েছে এবারের নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথী হয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দলবদলে বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই নন্দীগ্রামের ভোটের আগে শেষবেলাতে প্রচারে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৩০ মার্চ ফের নন্দীগ্রামে অমিত শাহ প্রচারের জন্য আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
এখানে প্রেস্টিজ ফাইটের জন্য নন্দীগ্রাম আসনকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। অমিত শাহের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং শুভেন্দুর প্রতি তিনি গলা চড়াবেন সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী—স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। এমনকী সেখানে এসে সভা করেছেন যোগী আদিত্যনাথও। এবার শুভেন্দুর মনোবল বাড়াতে সেখানে এবার রোড–শো করার কথা রয়েছে অমিত শাহের।
ইতিমধ্যেই রবিবার থেকে টানা পাঁচদিন নন্দীগ্রামে গিয়ে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে নন্দীগ্রামে তাঁর উপর আঘাত নেমে এসেছিল সেই নন্দীগ্রামেই প্রথম দফার ভোটের পর থেকে পাঁচদিন থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। এমনকী তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভোট শেষ করে তবেই তিনি সেখান থেকে নড়বেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘মে মাসের ২ তারিখে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।’
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যখন অশান্তির খবর মিলতে শুরু করেছে, তখনও সেই পাকিস্তান তত্ত্বেই অনড় রইলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। জেলার অশান্তির খবর নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘রাতে পাকিস্তানিরা ফুলবাড়িতে গোলমাল করেছে। পটাশপুরে ওসিকে বোমা মেরেছে পাকিস্তানিরা। ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত।’