তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন না, তাঁদের প্রতি লজ্জা।’ কারা পছন্দ করেন আর কারা পছন্দ করেন না তার ব্যাখ্যায় যাননি তিনি। বরং সুন্দর করে বার্তাটা পৌঁছে দিয়েছিলেন। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মেয়ে জয়া ভাদুড়ি। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাই বাংলার জামাই অমিতাভ। আর এবার একুশের নির্বাচনে মমতাকে জেতানোর ডাক দিতে বাংলায় এসেছেন জয়া বচ্চন। টালিগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের হয়ে প্রচারে নামলেও প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি। আর তাতে খানিকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বাবুলও। তাই টালিগঞ্জের রোড–শোয়ের খবর নেওয়ার পর ‘জয়াদিদি’কে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন বাবুল।
রবিবার কলকাতায় পা রাখেন জয়া। সোমবার টালিগঞ্জে পদযাত্রা করবেন বলে আগেই জানিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেই বাবুল দাবি করেন, অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের কাণ্ডকারখানার কথা জানলে, কখনওই প্রচারে আসতেন না জয়াদিদি। আসলে বাবুল সুপ্রিয় ভয় পেয়েছিলেন। কারণ বাবুলকে জয়া বচ্চন দু’জায়গাতে দেখতে পান। এক, সংসদ ভবনে। দুই, মুম্বইয়ের বলিউডের অন্দরমহলে। সুতরাং তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন অমিতাভ–জায়া।
কলকাতায় পা রাখার পর জয়ার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শুরু করে টালিগঞ্জের প্রচার, কোথাও বাবুলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি তিনি। এই বিষয়টি নেটমাধ্যমে তুলেও ধরলেন বাবুল সুপ্রিয়। একটি সংবাদমাধ্যমের ভিডিও পোস্ট করে মঙ্গলবার ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘জয়াদিদি, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে’। আসলে না জানিয়ে উপায়ই বা কি! জয়া বচ্চন মুখ খুললে বাবুলের ভোটবাক্সে ব্যাপক প্রভাব পড়ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
সৌজন্য দেখাতেই বাবুল এই পোস্ট করেছেন বলে মানতে নারাজ নেটিজেনরা। তাঁদের মতে, টলিপাড়ায় অরূপ এবং স্বরূপের প্রভাব শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। তাই রুদ্রনীল ঘোষও ফুল বদলের পর বিশ্বাস ভাইদেরনিয়ে সমালোচনা করেছেন। টালিগঞ্জের প্রার্থী হিসেবেও তাই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত বাবুলকে বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। জয়াকে কৃতজ্ঞতা জানানো পোস্ট বাবুল হিসেব কষেই করেছেন বলে মনে করছেন গেরুয়া তারকারা।