শীতলকুচির গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে তোলপাণ রাজ্য–রাজনীতি। সেখানে বিজেপি এই ঘটনায় সহানুভূতি দেখানোর পরিবর্তে বেপরোয়া মেজাজ দেখাচ্ছেন নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উস্কানি দিয়েছেন, ‘বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ এবার সেই ট্রেন্ড বজায় রাখলেন দলের প্রথমসারির নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি হুঙ্কার ছেড়ে বলেছেন, ‘আমি সায়ন্তন বসু বলে যাচ্ছি। বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।’ জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে সায়ন্তন বসু এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
সোমবার শীতলকুচির ঘটনা তিনি নিজেই টেনে এনেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস–সহ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এখান থেকে সুর চড়াচ্ছিলেন তিনি। এরপরই সায়ন্তন বসু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সকালে আনন্দ বর্মনকে মেরে দিল। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিল। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারটে–কে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। শোলে ফিল্মের ডায়লগ উদ্ধৃতি করে তিনি বলেন, ‘এক মারোগে তো চার মারেঙ্গে, শীতলকুচিতেও তাই হয়েছে।’ সায়ন্তনের এই হুমকি রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনীতির আবহাওয়া। সরাসরি এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে আতঙ্ক ছড়াবার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
এদিন সায়ন্তনের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় বলেন, ‘এটা একটা স্বৈরাচারী বক্তব্য। এই বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক নির্বাচন কমিশন।’ আর সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা আত্মরক্ষার্থে গুলি নয়। খেলবার জন্য শীতলকুচি। তা স্পষ্ট করছেন সায়ন্তন বসুরা।’ পঞ্চম দফার ভোটের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সংশ্লিষ্ট ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘১৭ তারিখে ভোট দিতে যান, বাহিনী থাকবে। ভোট দিতে না পারলে আমরা আছি। শীতলকুচিতে কী হয়েছে দেখেছেন তো? বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে শীতলকুচিতে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে ভোট দিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মনের। এরপর মাথাভাঙা, বুথ নম্বর ১২৬, আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর খবর আসে।