দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভোটের ময়দান থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন তণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুর্গাপুরে এক ভার্চুয়াল জনসভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কাণ্ডজ্ঞানহীনতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন তিনি। পালটা বিজেপির দাবি, সংকটকালেও করোনা নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করছেন না মমতা। যা দুঃখজনক।
এদিন মমতা বলেন, কেন্দ্রের অবহেলার জন্যই আজ দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, করোনা বিদায়ের পথে। তাদের কাছে কি কোনও খবর ছিল না? ওদিকে WHO ২০২০ সালেই সমস্ত দেশকে অক্সিজেনের ভাণ্ডার মজুত রাখতে বলেছিল।
মমতার অভিযোগ, ‘মোট ভ্যাকসিনের ৬০ শতাংশ পেয়েছে গুজরাত। বাকিরা পেয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। গুজরাতে পার্টি অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।’ মমতার দাবি, ‘আমাদের কাছে অক্সিজেনের ২০,০০০ সিলিন্ডার মজুত রয়েছে। শিল্পের জন্য উৎপাদিত অক্সিজেনের পুরোটা আমরা স্বাস্থ্যে নিয়ে নিয়েছি।’ মমতার অভিযোগ, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে ভাতে মারতে চায়। তাই অক্সিজেন দিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের অক্সিজেন উত্তর প্রদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে সংসদ ভবন আর মূর্তি বানাচ্ছে। আর মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে কেন্দ্রীয় সরকার ২০,০০০ কোটি টাকা খরচ করতে পারছেন না।’
এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রাজ্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পালটা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংকটকালে করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা। এটা দুঃখজনক। আমন্ত্রণ না থাকলে রাজ্যের আমলারা বৈঠকে যোগ দিলেন কী করে? পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও অক্সিজেন উত্তর প্রদেশে যায়নি। উনি আগে প্রমাণ করুন। গুজরাতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মানুষ যাতে অক্সিজেন নেয় সেব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করা হয়েছে মাত্র।’