শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। পঞ্চম দফার ভোটের আগে সিআইডি’ত তদন্তভার নেওয়া সবচেয়ে বড় খবর বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানালো গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি তথা এপিডিআর। এই গুলিচালনার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারবর্গ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছে তারা। শুক্রবার এপিডিআরের এক প্রেস বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। অভিযোগ, শীতলকুচির ১২৬ নং বুথ আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে সিআইএসএফ জওয়ানদের গুলিতে চার গ্রামবাসী মারা যান। আর ২৬৫ নং বুথ পাঠানতলিতে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণের। সিআইডি তদন্ত করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিজের থেকেই সেই তদন্তভার গ্রহণ করল তারা। হাইকোর্ট এই রিপোর্ট তলব করেছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যে চারজন মারা গিয়েছেন সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। ওই চারজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। বেশ কয়েকটি ভিডিও হাতে এসেছে। সেগুলিও যাচাই করে দেখা হবে। পাশাপাশি এই গুলি চালানো পরিকল্পিত নাকি ঘটনার বহিঃপ্রকাশ তাও খতিয়ে দেখা হবে। গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর, সে দিন বুথ থেকে ২০০ মিটার দূরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ১৪ বছর বয়সি জাহিদুল হককে সিআইএসএফ বাহিনী নির্মমভাবে মারধর করে। এই ঘটনায় এলাকাবাসী সাময়িকভাবে বিক্ষুব্ধ হলেও তারা কখনই ১২৬ নং বুথ চত্বরে প্রবেশ করেনি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে কোনও জমায়েতও করেনি।