দেশ জুড়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা। হাসপাতালে মিলছে না শয্যা, অক্সিজেন। পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটপ্রচারে রাশ টেনেছে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল। তবে কিছু জায়গায় এখনো মানা হচ্ছে না করোনাবিধি। যার ফলে পরিস্থিতি আরও খাপার হতে পারে বলে অনুমান। সেই আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বলেছে, শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে বসে থাকতে পারে না কমিশন। সঙ্গে তাদের পদক্ষেপ করতে হবে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ যে নির্ভুল তা প্রমাণ করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবারই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে রোড শো করেন তিনি। তার পর সেই রোড শোয়ের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘মালদার হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভায় রোড শোতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম।’ প্রশ্ন উঠছে, জটিল এই পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করে কোন কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় দিলেন তিনি?
এদিন দিলীপবাবু যে ছবি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে গিজগিজ করছে ভিড়। মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও নেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বালাই। এই দৃশ্যে গর্বিত দিলীপবাবু তার ছবিও পোস্ট করেছে।
ওদিকে এই ধরণের প্রচারের আয়োজন করে কী করে রাজনৈতিক নেতারা পার পেয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিভিএন রাধাকৃষ্ণণ প্রশ্ন তুলেছেন, সমস্ত ক্ষমতা থাকলেও সার্কুলার জারি ছাড়া আর কোন পদক্ষেপ করেছে কমিশন? এখন দেখার দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে কমিশন।
প্রশ্ন উঠছে, তাঁর প্রচারে যোগদানের পর কেউ করোনা আক্রান্ত হলে কি দায় নেবেন দিলীপবাবু? তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন? কারও মৃত্যু হলে কী দিয়ে সেই ক্ষতিপূরণ করবেন তিনি? গণতন্ত্রের উৎসবে কি যূপকাষ্ঠে বলি হবে নীরিহ প্রাণ?