বিধানসভা নির্বাচনের আবহে নির্বাচন কমিশনের রোষে পড়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসে ছবি এঁকেছেন তৃণমূলনেত্রী। আর তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘২ মে’র পর শুধুই ছবি আঁকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। আর কোনও কাজ থাকবে না। তাই উনি অভ্যেস করুন।’ বুধবার বর্ধমানের নীলপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’য় উপস্থিত হয়ে এই মন্তব্য করলেন তিনি।
মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে রসিকপুরে দিলীপ ঘোষের ব়্যালিতে হামলা হয়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গাতেই গণ্ডগোল করছে গুন্ডারা। তবে ভয় দেখিয়ে এবার আর ভোটারদের প্রভাবিত করা যাবে না। আর আমরা কারও দলীয় কার্যালয়ে হামলা করি না। কালকে ওরা হামলার চেষ্টা করেছিল। আমাদের ছেলেরা আটকেছে। তারপর সাধারণ মানুষ যা করার করেছে।’
এদিন তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘রাজ্যের কোথাও এই গুন্ডামির রাজনীতি আমরা চলতে দেব না। আগে জঙ্গলমহলে দিদিমণির দোকান বন্ধ হয়েছে। এবার বর্ধমানের দোকানটা বন্ধ করে দেব। বিরোধী হিসেবে দু’একটা আসন ছেড়ে দেব আমরা। বীরভূম থেকে গুন্ডারা এসে এখানে অত্যাচার করছে। বর্ধমানের মানুষ বহু অত্যাচার সহ্য করেছে। আর করতে হবে না।’
উল্লেখ্য, জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে— মন্তব্যের জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার সুর নরম করে দিলীপ বলেন, ‘যারা শীতলকুচি করেছিল, তারা হেরে গিয়েছে। প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কোনও ভোটারকে কেউ আটকাতে পারবে না। ভোটদানে বাধা দিতে পারবে না। যদি কেউ মারপিট করতে যায় তাকে তো ফল ভুগতেই হবে। কেউ যদি ভাবে তারা তাদের মতো ভোট করে নেবে, সেটা হবে না।’