প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ তোলার পরদিনই প্রকাশ্যে মুসলিমদের একজোট হতে বলায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে নোটিশে জানানো হয়েছে, ওই কথা বলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মমতা। কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
নোটিশে বলা হয়েছে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, গতচ ৩ এপ্রিল হুগলির তারকেশ্বরে এক সভায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের কাছে হাত জোড় করে বলছি, বিজেপির কাছ থেকে যে শয়তানরা টাকা নিয়েছে তাদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ভাষণ সরাসরি টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছে। যা ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ার শামিল।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলাকালে রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে মমতার এই ভাষণের প্রসঙ্গ তোলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ভোটপ্রচারে সরাসরি মুসলিমদের একজোট হওয়ার কথা বলছেন দিদি। বলছেন, মুসলিম ভোট যেন ভাগ না হয়। আর এর উলটোটা যদি আমরা বলতাম। যদি বলতাম, হিন্দু ভোট যেন ভাগ না হয়, তাহলে কমিশনের আট দশটা নোটিশ এতক্ষণে চলে আসতো।
এর পর মোদী বলেন, ‘দিদির কথায় স্পষ্ট, উনি যাদের ভরসায় ভোটের ময়দানে নেমেছেন তারাও ওনার পাশে নেই।’
এদিন কমিশনের নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে মমতাকে। না দিলে কমিশনের তরফে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বলে রাখি, ভারতীয় নির্বাচনী বিধিতে ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে ভোট চাওয়া নিষিদ্ধ। কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের সদস্য তা করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে কমিশনের।