হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরদিন করোনা বিধি বলবৎ নিয়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসল কমিশন। বিধি না মানায় সরাসরি FIR করল তারা। করা হল শো-কজও। তবে তার মধ্যে শুক্রবারও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারে জমায়েত চালিয়ে গিয়েছেন প্রার্থীরা।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাবিধি না মানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ১৩টি FIR দায়ের করেছে তারা। ৩৩টি শো-কজ নোটিশ জারি করা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধেও দায়ের হতে পারে মামলা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিল্লিতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে আধিকারিকদের বৈঠকে হাইকোর্টের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। তার পরই এই পদক্ষেপ।
হাইকোর্টের মন্তব্যের পর বৃহস্পতিবার রাতেই ভোটপ্রচারে লাগাম পরিয়েছে কমিশন। ৫০০ জনের বেশি জমায়েত করে সভা নিষিদ্ধ হয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছে যাবতীয় মিছিল ও রোড শো। ইতিমধ্যে রাজ্য সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভার্চুয়াল সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে তার মধ্যেও বন্ধ নেই ভোটপ্রচার। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ছিল না দূরত্ববিধির কোনও বালাই। দক্ষিণ দিনাজপুরে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেও উপচে পড়ে ভিড়।