কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিকেলে ওই বক্তব্য নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। তার পরই তৎপর হয় কমিশন।
বুধবার কোচবিহারে এক নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘সিআরপিএফ যদি গন্ডগোল করে, আপনারা মেয়েরা একদল ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একদল ভোট দিতে যাবেন৷ শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভোটটা দেওয়া হবে না৷ এটাই বিজেপির চাল৷ ফলে ভোট নষ্ট করবেন না৷ পাঁচজন ঘেরাও করবেন, পাঁচজন ভোট দেবেন৷’ বিজেপির দাবি, মমতার এই বক্তব্য দুষ্কৃতীদের আসকারা দেবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্ররোচনার কাজ করবে তাঁর এই বক্তব্য।
এর পরই কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। মমতার এই বক্তব্যকে দেশবিরোধী বলে দাবি করে তাঁকে ভোটপ্রচারে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় তারা। সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে তারা। এর পরই এদিন কোচবিহারের জেলাশাসকের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছেন, তা ইংরাজি তর্জমা করে জানাতে বলে হয়েছে কমিশনকে।
ওদিকে এদিনই ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে একটি সভায়, সংখ্যালঘুদের একজোট হওয়ার ডাক দেন মমতা। সংখ্যালঘু ভোট যেন ভাগ না হয় তাও খেয়াল রাখতে বলেন তিনি। বিজেপির দাবি, একথা বলে আসলে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছেন মমতা। যা ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে নিষিদ্ধ।