সামশেরগঞ্জ–জঙ্গিপুরে ১৩ মে ভোট হবে বলে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এখানে কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য দুই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত ছিল। গত ১৫ এপ্রিল মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। আর ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় জঙ্গিপুরের সংযুক্ত মোর্চার আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। করোনা আক্রান্ত হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন। ভোটগণনা আগামী ১৮ মে।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, ঘটনাচক্রে ১৩ মে ইদ। ইদের দিন ভোট দিতে যেতে নারাজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটের হুমকিও দিচ্ছেন সামশেরগঞ্জ–জঙ্গিপুরের মানুষজন। তাঁদের দাবি, ইচ্ছা করেই এই কাজ করা হয়েছে। সংখ্যলঘু মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনতেই এই দিন ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক করোনায় প্রয়াত হন। তাই নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন।
আবার ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় এই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপির লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর। সুতরাং ওই কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়। ওই দুই কেন্দ্রে ভোট হবে ইদের দিন অর্থাৎ আগামী ১৩ মে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন আগামী ২৬ এপ্রিল। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। দুই কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৮ মে। এই দুই কেন্দ্রেই ভোটারদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সংখ্যাই বেশি। তাই বিতর্ক শুরু হয়েছে।