শীতলকুচি কাণ্ডের জেরে বেশ ব্যাকফুটে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই আর যাতে শীতলকুচির ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই নির্দেশিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনার পর পর্যালোচনা করে এবার বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জটলা কিংবা জমায়েত হলেও গুলি চালানো যাবে না। সিআরপিসির ১৫১ বা ১৮৮ ধারায় আটক করুন। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
এদিন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক–সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। সেখানেই শীতলকুচির ঘটনার বিষয়টি ওঠে। তখনই গুলি না চালানোর কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না নিয়ে আপত্তিকর কিছু দেখছে না কমিশন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে শীতলকুচির যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
এদিন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, একদফায় বাকি নির্বাচন করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। কারণ, এই কাজ করতে গেলে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তার আয়োজন করা সম্ভব নয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে বলেন, ‘শীতলকুচিতে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে বুথ দখল হয়ে যেত। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়।’ তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি দফাগুলির প্রচারে জনসভার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে পারে কমিশন। আজ, শুক্রবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, এবার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও থাকবে বাড়তি সতর্কতা। ভোট দিয়ে ফেরার পর কেউ অসুস্থবোধ করলে বা করোনার উপসর্গ দেখা দিলে, তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে অনুরোধ করা হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকর্মীরা সতর্ক হয়ে যান। রাজ্যের গত চার দফার ভোটে কোন রাজনৈতিক দল কতটা করোনা বিধি পালন করেছে, তার একটি খসড়া রিপোর্ট হাতে পেয়েছে কমিশন। দেখা গিয়েছে, রোড শো হোক বা জনসভা— কোনও কর্মীই মাস্ক পরছেন না। জনসভার মাঠে কোথাও থার্মাল স্ক্যানিং হচ্ছে না। আজ রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সতর্ক করা হতে পারে। আজই আরও ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসছেন।