ভোট–পঞ্চমীর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্লিনচিট দিল নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচার নিষিদ্ধ করার পরও গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে কার্যত তিনি প্রচার করেছেন। অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির নীচে ধর্ণায় বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যে ছবি সম্প্রচারিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। এই সমস্ত অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, কোনও নিয়মভঙ্গ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলেছিলেন তিনি।
গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা একাই হুইল চেয়ারে বসেছিলেন। সেখানে বসেই রং, তুলি দিয়ে একাধিক ছবি এঁকেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্ণায় বসে বিধি ভাঙলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগ তুলে চারিদিকে বলতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। আর পয়লা বৈশাখের দিন রাতে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়ে দিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ণায় বসে কোনও নিয়ম ভাঙেননি।’ আর তাতেই বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্ররোচনামূলক বক্তব্যের অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মমতা। তার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ণায় বসেন।