পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ব্যাণ্ডেল ফাঁড়ির সামনে ধর্ণায় বসলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। বিজেপির প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই তৃতীয় দফার নির্বাচনে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত–সহায়ককে চড় মারার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। তারই জেরে গেরুয়া শিবিরের কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে জিটি রোড অবরোধ করে রাস্তায় ধর্ণায় বসেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালেই চুঁচুড়া স্টেশনের কাছে থেকে সুগন্ধ্যা মোড় পর্যন্ত রোড–শো ছিল বিজেপির। যাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঝামেলার সূত্রপাত দিলীপ চুঁচুড়ায় পা রাখার পরই। দিলীপের হেলিকপ্টার চুঁচুড়ায় নামার পর ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, সাংসদের আপ্ত সহায়ককে চড় মারা হয়েছে।
চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক বিবেক মিশ্রকে রাস্তায় চড় মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিবেক নিজের মোটরবাইক নিয়েই চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানেই উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বচসা চলাকালীন এক পুলিশকর্মী বিজেপি প্রার্থীর আপ্ত–সহায়ক বিবেককে চড় কষিয়ে দেন। আবার চুঁচুড়া স্টেশন থেকে সুগন্ধ্যা পর্যন্ত রোড–শো ছিল দিলীপ এবং লকেটের। প্রত্যাশার তুলনায় রোড শো’তে ভিড় কম ছিল। তারপরই হুগলির সাংসদ দাবি করেন, পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। প্রতিবাদে ব্যান্ডেল ফাঁড়ির সামনে বেশ কিছু সমর্থককে নিয়ে ধর্ণায় বসে পড়েন লকেট।
উল্লেখ্য, বিজেপির বিক্ষোভের মাঝেই ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর কমিশনারেটের সহকারি পুলিশ কমিশনার পলাশ ঢালি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন লকেট এবং তাঁর অনুগামীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও পরে অবরোধ তুলে নেয় বিজেপি। সোমবারই হুগলিতে জোড়া জনসভা করার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার। কিন্তু বিজেপি সভাপতির দুটি জনসভায় লোক না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়।