বিধানসভা নির্বাচনে যখন তৃণমূল – বিজেপির সম্মুখসমর চরমে পৌঁছেছে তখনই যুযুধান ২ পক্ষকে মিলিয়ে দিলেন এক বলিউড সেলিব্রিটি। খুব নামকরা কেউ নন, তিনি ‘পরদেশ’ খ্যাত অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। কয়েকদিনের ব্যবধানে তাঁকে দেখা গেল তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে। তবে প্রার্থীরা দুজনেই হেভি ওয়েট।
গত ৫ এপ্রিল কামারহাটি কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী মদনগোপাল মিত্রের প্রচারে এসেছিলেন মহিমা। প্রচারের সেই ছবি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করতে ভোলেননি মদনগোপালবাবু। ভোটপ্রচারে বলেছিলেন, কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী ভাল মানুষ। আমি চাই উনি জিতুন। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কারণ মদনবাবুর সেলিব্রিটিদের প্রতি টান কারও অজানা নয়। মাঝেমাঝেই নায়িকাদের সঙ্গে নায়কের পোজে ছবি তুলতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর প্রচারে মহিমার গ্ল্যামার বাড়তি চমক যোগ করেছে বলে দাবি মদনগোপালবাবুর ভক্তদের।
কিন্তু গোল বাঁধে সোমবার। এদিন বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের হয়ে প্রচার করেন মহিমা চৌধুরী। সেখানে বলেন, সব্যসাচী দার সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। উনি ভাল মানুষ। আমি চাই উনি জিতুন। সব্যসাচী বলেন, আমি যখন মেয়র ছিলাম তখনও মহিমা প্রচারে এসেছিলেন।
ভোটের ময়দানে একপক্ষ উত্তর দিকে তাকালে আরেক দল যখন দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে থাকছে তখন মহিমার মহিমায় পুলকিত নেট দুনিয়া। সোশ্যাল সাইটে নানা রকম মন্তব্য করেছেন অনেকেই। অনেকে মহিমার পেশাদারিত্বকে কুর্ণিশ করেছেন। অনেকে আবার বিজেপিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘কোথায় গেল গোখরো’?
বলিউড বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বলিউডে কাজ কমে গেলে দৈনন্দিন জীবনের ব্যায়ভার চালাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয় অভিনেতা – অভিনেত্রীদের। অনেকেই এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেন। নিজেদের আয় ঠিক রাখতে তখন অভিনয়ের বাইরে নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন তাঁরা।