এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়াম থেকে ভার্চুয়াল সভায় তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ভোটের পর আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব। বিজেপির এক নেতা বলল ওরা সভা করবে না। ওদের কোনও সভা ছিলও না। তার পরেই সবার সভা বন্ধ করে দেওয়া হল। কমিশনের কাছে কোনও বিচার আমরা পাচ্ছি না। বিজেপির কথা শুনে নির্বাচন কমিশন ভোট করিয়েছে বলেই করোনা এত বেড়েছে। বিজেপির কথা শুনে ৮ দফায় নির্বাচন না করলে এই সব হত না।’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ মূলত নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত তিন পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ছিল।
এরপরই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘অনেক কাজ করেছেন এবার থালা বাজান। ঘন্টা বাজান। লক্ষ লক্ষ ক্যাডারকে এনেছে। দু’লক্ষের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেছে। ওরা এক জেলা থেকে আর এক জেলায় যাচ্ছে আর করোনা ছড়াচ্ছে। কারও কোভিড টেস্টও হয়নি। তাই আপনাদের বলছি, ভোট করবেন আবার মানুষের পাশে থাকবেন। একটা অপদার্থ কেন্দ্রীয় সরকার। সবকিছু নিজের হাতে রেখে দিয়েছে। কেন্দ্র কোনও কিছু রাজ্যের হাতে ছাড়ে না।’
নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির আয়না বলে কটাক্ষ করেন। বিজেপির পরিকল্পনাকে কার্যকর করছে নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, কোন নির্দেশে কী কাজ চলছে সব খবর আমার কাছে আছে। এমন করছে যেন বিজেপি ক্ষমতায় এসে গিয়েছে। বিজেপি, নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে চলছে। শুধু বিজেপিকে বাংলা দখল করানোর জন্য কমিশন এখানে এত দফায় ভোট করালো। ভাষণ ছাড়া কোনও কাজ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।’
এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে আমাদের দলের নেতাদের গ্রেফতার করে নিতে। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। আমার কাছে যা প্রমাণ আছে, আমি ঠিক করেছি নির্বাচনের পরে সুপ্রিম কোর্টে আমি যাব। রাজধর্ম পালন করলে আমার কোনও সমস্যা নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলা হচ্ছে গুলি চালিয়ে দাও। নন্দীগ্রাম না দেখলে আমার চোখ খুলত না।’