কলকাতার বুকে নির্বাচনী সভা করতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, কলকাতা সিটি অফ জয় হয়ে থাকবে এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের উদাহরণ হবে। এবার সপ্তম দফার নির্বাচনের প্রাক্কালে ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, কলকাতা ভবিষ্যতের শহর হবে—‘সিটি অব ফিউচার’। তাঁর কথায়, ‘কলকাতাকে আগে আনন্দের শহর বলা হত। এবার কলকাতা হবে ভবিষ্যতের শহর।’ সপ্তম এবং অষ্টম দফার নির্বাচন হবে দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতায়। তাই তিলোত্তমার মানুষের ভোট টানতেই একই কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
আসলে কলকাতার ১১টি আসনে ভোটের আগে তাঁর এই কথা বেশ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ষষ্ঠ দফার নির্বাচন পর্যন্ত যে মেরুকরণের রাজনীতিকে বিজেপি ব্যবহার করে এসেছে, শহরাঞ্চলে তার প্রভাব নাও পড়তে পারে। শহরের মানুষের দাবি হয় ভিন্ন। উন্নত পরিষেবা, মসৃণ রাস্তাঘাট, শুদ্ধ পানীয় জল, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কম খরচে উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা। ‘ধর্মীয় মেরুকরণ’ তাঁদের মনের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে না। সুতরাং সিটি অফ জয় করতে গেলে প্রথমে ক্ষমতায় আসতে হবে। যদি তা সম্ভব হয় তাহলে উন্নত পরিষেবা দিতে হবে। কারণ সেটাই হবে সিটি অফ ফিউচার।
বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী, শহরের এলিট–ক্লাসের মানুষজন গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁরা বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কড়া বিরোধিতা করেন। তাছাড়া একেবারে নীচুস্তরের মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পরিষেবা পেয়েছেন। ফলে এখানে ভোট পেতে গেলে সিটি অফ ফিউচারকেই হাতিয়ার করতে হবে। তাতে কতটা কাজ হবে তা বোঝা যাবে ২ মে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোকাস করেছেন নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের উপর। আর সেটাই তিনি তুলে ধরেছেন। তাই বারবার তাঁর বক্তব্যে মেট্রো কানেক্টিভিটির কথা উঠে এসেছে।